ঋজু রায় রায় এর ছবি সহ আজটকস এর প্রতিবেদন:আর পাঁচটা সকালের মত না হলেও গত ২২শে আগস্ট বারাসাতের হৃদয়পুরে আরাধনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড অর্গানাইজেশনের দ্বারা পরিচালিত নিঃস্ব নাবালক এবং নাবালিকাদের হোম টি ছিল যেন অন্য অপেক্ষায়। যেখানে শুধু এক সমাজকর্মী সঙ্গে নিজের সংস্থার শুধু পরিচয় নয় বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রানের মানুষ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সর্বাণী চক্রবর্তী।তারইআন্তরিক আমন্ত্রণে এদিন উপস্থিত হনজাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজসেবী অনির্বাণ সামন্ত । মূলত সংস্থা পরিদর্শন ছাড়াও ওনার সুপরামর্শে এই সামাজিক এবং উন্নয়ন সংস্থাটির অগ্রগতির লক্ষ্যে ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কারণ, অনির্বাণ বাবুর মত একজন , সৎ, নিঃস্বার্থ উন্নত মানসিকতার সমাজ কর্মী কে পাশে এবং সাথে পেলে ওনার সমৃদ্ধ হবেন বলে জানান সংস্থার প্রতিস্থাটা সর্বাণী চক্রবর্তী। এছাড়াও সংস্থার পরিদর্শনের সময় অনির্বাণ বাবু অপ্রাপ্তবয়স্ক নিঃস্ব ছেলে মেয়েদের জন্য ওপেন সেল্টারের ২৫ জন ছেলে এবং নিঃস্ব নাবালিকা মেয়েদের জন্য কটেজ হোমের ২৫ জন মেয়ের জন্য বিস্কুট, মিষ্টি ,ফ্রুট জুস , ড্রয়িং খাতা ও রং পেন্সিল তুলে দেন ।এছাড়াও ৫০ জনের জন্য এক মাসের প্রয়োজনীয় মুসুর ডাল তুলে দিন। অনির্বান বাবু হোমের সমস্ত ছেলে মেয়েদের উদ্যেশ্যে বলেন যে, তারা যেন ভবিষ্যতে লেখাপড়া শিখে ভালো মানুষ হয়ে প্রয়োজনে অন্য অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এদিন হোমের ছেলেমেয়েদের পরিবেশনায় নাচ ,আবৃত্তি এবং আঁকা এবং হাতের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন অনির্বাণ সামন্ত। এছাড়াও তিনি আরাধনা সামাজিক এবং উন্নয়ন সংস্থার দ্বারা পরিচালিত আবাসিক নেশামুক্তি কেন্দ্রের ছেলেদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আবেদন করেন এবং তাদের হাতে খাবার তুলে দেন। এখানকার আবাসিক দের দ্বারা তৈরি প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাগজের ব্যাগের ব্যবহার পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতার এই প্রশিক্ষণের তিনি প্রশংসা করেন।স্থানীয় সহ দেশের আর্ত মানুষের জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনামুল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়েই থেমে থাকেন নি সর্বাণী দেবী। আগামী দিনে তার পরিকল্পনায় স্থান পেতে চলেছে বলে জানান অনিবান বাবুকে যেখানে উল্লেখ করে”নয়া ভারত নেশা মুক্ত ভারত,” ভিক্ষা বৃত্তি মুক্ত ভারত ” এর মত বেশ কিছু ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথা।সব মিলিয়ে ২০০৩ এ গড়ে ওঠা এই সংস্থার কাজ গুলো বেশ আকৃষ্ট করেন অনির্বান বাবুকে।
আবেগ নয় সেবার আলোতেই আপন হয়ে উঠেছে ‘আরাধনা’
