কলকাতা, ১২ই এপ্রিল ২০২৫: উৎসবের এই মৌসুম আশার আলো, সমৃদ্ধি এবং নতুন সূচনার বার্তা নিয়ে এলো। এই আবহে, বাংলা উদযাপন করছে পয়লা বৈশাখ ও অক্ষয় তৃতীয়া – সংস্কৃতির গর্বে উদ্ভাসিত। এই আনন্দঘন মুহূর্তে, টাটা গোষ্ঠীর অন্তর্গত ভারতের বৃহত্তম গহনার খুচরো ব্র্যান্ড তানিষ্ক উন্মোচন করলো ‘কঙ্কন কথা’, এক অনন্য উৎসব ও বিবাহ উপযোগী বালার সংগ্রহ।
বাংলার ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত এই সংগ্রহটি, বালাকে একটি পরিচয়, আবেগ এবং রীতির প্রতীক হিসেবে সম্মান জানায়। গ্রীষ্মকালের বিবাহ-পর্ব শুরু হতে চলেছে, আর এই সংগ্রহটি হবু কনেদের ও ঐতিহ্যপ্রীত প্রত্যেক নারীর জন্য এক অপরিহার্য অংশ। সূক্ষ্ম কারুকার্য, চিরন্তন আবেদন এবং শিল্পকলায় সমৃদ্ধ এই সংগ্রহটির উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, কলকাতার তাজ বেঙ্গল-এ।
কঙ্কন কথা সংগ্রহ অনুপ্রাণিত বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে—যেখানে শিল্প, ঐতিহ্য এবং চিরন্তন সৌন্দর্য মিলে গড়ে তোলে এক অমূল্য রত্নভাণ্ডার। প্রতিটি বালা ‘আল্পনা’ নকশায় সুসজ্জিত, যা শুদ্ধতা এবং শুভতার প্রতীক। বাংলার বিয়ে, উৎসব এবং সংস্কারের পবিত্রতা এই নকশার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।
https://www.tanishq.co.in/shop/konkonkotha?lang=en_IN#home
সঙ্কলনে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের সোনার বালা—
- কাঁকন: বৈবাহিক সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক,
- লোহা: শক্তি, স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার প্রতীক,
- বালা: রাজকীয় সৌন্দর্যের প্রতিফলন,
- চুড়: নারীত্ব, সৌন্দর্য ও জীবনের ছন্দের প্রতীক।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী হ্যান্ডলুমের প্রতি সম্মান জানিয়ে, বালাগুলির ডিজাইনে উঠে এসেছে মীনাকারি কাজ ও জামদানি ফুল-পাতার মোটিফ, তাঁতের আধচাঁদ ও তাবিজ নকশা, এবং বাটিকের আঞ্চলিক ছাপ। প্রতিটি নকশা বর্তমান প্রজন্মের জন্য সাবলীলভাবে রূপান্তরিত।
তানিষ্ক-এর টাইটান কোম্পানি লিমিটেড-এর রিজিওনাল বিজনেস হেড শ্রী সোমপ্রভ সিংহ বলেন, “কঙ্কন কথা বাংলা সংস্কৃতির গভীর ঐতিহ্য ও আধুনিক চাহিদার এক মেলবন্ধন। আমরা বরাবরই বাংলার মানুষের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করেছি এবং এই সংগ্রহের মাধ্যমে তা আরও দৃঢ় করছি। প্রতিটি বালা শুধু অলঙ্কার নয়, স্মৃতি, বন্ধন এবং শিল্পকলার বাহক। পয়লা বৈশাখ হোক বা বিবাহের পবিত্র মুহূর্ত, এই বালাগুলি ভালবাসা, সমৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।”
অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলেন, “কঙ্কন কথা সংগ্রহ বাংলার শিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রের এক অনবদ্য প্রতিচ্ছবি। এই সূক্ষ্ম কারুকার্যযুক্ত বালাগুলি বাংলার শিল্পকে সম্মান জানায়—আমাদের কারিগরদের তরফ থেকে বাংলার প্রতিটি ঐশানীর জন্য এক আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই বালা যেমন ঐতিহ্যবাহী শাড়ির সঙ্গে মানানসই, তেমনি আধুনিক ফিউশন সাজেও চমৎকার মানিয়ে যায়—আজকের নারীর জন্য একদম উপযুক্ত।”
‘কঙ্কন কথা’ এখন উপলব্ধ পশ্চিমবঙ্গ, আগরতলা এবং শিলচরের সমস্ত তানিষ্ক স্টোরে। হবু কনে এবং তাঁদের পরিবার এখন এই অপরূপ বালাগুলি কাছ থেকে দেখতে পারবেন এবং বাংলার শিল্প ও ঐতিহ্যের সঙ্গে তানিষ্কের কারিগরির অপূর্ব মেলবন্ধন উপভোগ করতে পারবেন।