তাপস রায়,কলকাতা, এপ্রিল ২০২৫: ‘এই সময় দীপ্তি ২০২৫’-এর বিজয়ী হলেন ঋতুপর্ণা দাস। দীপ্তির মুখ ও টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে বিজয়ীর মুকুট গ্রহণ করেন ঋতুপর্ণা।
প্রথম রানার-আপ হয়েছেন তিথি বন্দ্যোপাধ্যায় (ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা) এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন আরফিন ইয়াসমিন (বর্ধমান)।
দীপ্তির ভাবনা—“স্বপ্নের কোনও সীমা নেই”—প্রতিফলিত হয়েছে শুভশ্রীর নিজের জীবনেও। বর্ধমান থেকে উঠে এসে আজ তিনি টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী, আর সেই স্বপ্নের সিঁড়ি এবার ঋতুপর্ণাদের জন্য খুলে গেল।
অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে ছিলেন একঝাঁক বিশিষ্ট মানুষ:
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার, অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী, পরিচালক প্রতীম ডি. গুপ্ত, অভিনেত্রী আলেকজ়ান্দ্রা টেলর, ফটোগ্রাফার সোমনাথ রায়, ডিজাইনার সন্দীপ জয়সওয়াল, কাস্টিং ডিরেক্টর সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী পিয়ান সরকার ও উদ্যোগপতি প্রতিভা দুধোরিয়া।
এবার প্রথমবার কলকাতা ছাড়িয়ে দীপ্তি পৌঁছল জেলায় জেলায়—উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, মেদিনীপুর ও কলকাতা—এই চারটি জোনে অনুষ্ঠিত হয় জোনাল অডিশন। প্রায় ৩,০০০ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে বাছাই হয়ে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছান ২০ জন প্রতিযোগী। এই অডিশনের বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন পিয়ান সরকার, সন্দীপ জয়সওয়াল ও সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়।
এই ২০ জন ফাইনালিস্টকে গ্রুমিং ও প্রশিক্ষণ দেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০১০ উষসী সেনগুপ্ত। তিনি তাঁদের শেখান র্যাম্প ওয়াক, ব্যক্তিত্ব গঠন ও মঞ্চে উপস্থাপনা।
২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘এই সময় দীপ্তি’ আজ শুধুমাত্র একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়—এটি হয়ে উঠেছে এক আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীন ও স্বপ্ন দেখা আধুনিক নারীর মঞ্চ। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ছাত্রী, পেশাদার, গৃহবধূ ও উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করে নিজেদের স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পেয়েছেন।
বিজয়ীরা এবার সুযোগ পাবেন হইচই, এসভিএফ মিউজিক ও এসভিএফ ট্যালেন্টের সঙ্গে কাজ করার। ফলে তাঁদের জন্য খুলে যাচ্ছে বিনোদন দুনিয়ার দরজা, আর স্বপ্ন হয়ে উঠছে বাস্তব।
ছবির মতো সেই রাত, রুপোলি আলোয় উজ্জ্বল সেই মঞ্চ—এবার আর শুধু সুন্দরী নয়, জয় হল নারীত্বের সাহসিকতার।