জীবন রক্ষার জরুরী জিজ্ঞাসা!

আজটকস কলকাতা, ২৭ মে ২০২৫ — সহানুভূতি ও প্রস্তুতির এক অনন্য সংমিশ্রণে, মণিপাল হাসপাতাল বিশ্ব জরুরি দিবস উপলক্ষে কলকাতায় চালু করল এক ব্যতিক্রমী সিপিআর প্রশিক্ষণ অভিযান, যেখানে সাধারণ মানুষ পরিণত হলেন সম্ভাব্য জীবনরক্ষকে।

এই প্রথমবার, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি ও অ্যাসিড হামলার শিকারদের এই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে এই প্রকল্প হয়ে উঠেছে আরও মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। ভোরের জগার্স পার্ক থেকে শুরু করে সন্ধ্যার কর্পোরেট অফিস, রেলস্টেশন, পাবলিক পার্ক ও Rapido রাইডারদের মধ্যেও পৌঁছে গিয়েছে এই প্রশিক্ষণ।

সারাদিনে ১৫০০-রও বেশি কলকাতাবাসী হাতে-কলমে শিখেছেন কীভাবে হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্টের মত জরুরি পরিস্থিতিতে সিপিআর প্রয়োগ করা যায়। মুকুন্দপুর থেকে ঢাকুরিয়া, ব্রডওয়ে ও সল্টলেক ছুঁয়ে ২০টি অ্যাম্বুলেন্সের একটি প্রতীকী র‍্যালি আয়োজন করা হয়—এক সুসংহত ও প্রস্তুত সমাজের প্রতিচ্ছবি।

মেডিকা সুপারস্পেশালটি হাসপাতালের (মণিপাল হাসপাতাল ইউনিট) জরুরি বিভাগের প্রধান ডাঃ ইন্দ্রনীল দাস বলেন, “জরুরি পরিস্থিতি হাসপাতালের অপেক্ষা করে না—তা ঘটে হাঁটার পথে, রাস্তায়, অফিসে। তাই আমরা মানুষের মাঝে গিয়ে তাদের শক্তিশালী করে তুলছি।”

তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডাঃ সুজয় দাস ঠাকুর (মুকুন্দপুর) এবং ডাঃ কিশান গোয়েল (ব্রডওয়ে), যারা প্রশিক্ষণ সেশনের নেতৃত্ব দেন। ডাঃ ঠাকুর বলেন, “জীবন বাঁচানো শুধু চিকিৎসকের কাজ নয়, এটা সামাজিক দায়িত্বও।”

এনজিও, Rapido রাইডার এবং দূরদরাজ জেলার অ্যাসিড হামলার শিকারদের মধ্যেও প্রশিক্ষণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাঃ গোয়েল বলেন, “সচেতনতা যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন ইচ্ছা ও প্রস্তুতি—এই দুইয়ের সমন্বয়েই তৈরি হয় একজন প্রকৃত জীবনরক্ষক।”

এর আগে, বেঙ্গালুরুতে সিপিআর প্রশিক্ষণের জন্য মণিপাল হাসপাতাল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করেছে। আজকের কলকাতার উদ্যোগ সেই ধারাবাহিকতাকেই আরও শক্তিশালী করেছে।

ডাঃ পারমিতা কঞ্জিলাল বলেন, “সিপিআর ও ফার্স্ট এইড সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে আমরা এমন একটি শহর গড়ে তুলছি, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান এবং প্রতিটি নাগরিক জীবনের সৈনিক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *