বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে বি.পি. পোদ্দার হসপিটালের সচেতনতা মূলক উদ্যোগ
৩১ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস’। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য—তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং ধূমপান ছাড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। এই উপলক্ষে দক্ষিণ কলকাতার বি.পি. পোদ্দার হসপিটাল-এ আয়োজিত হল এক বিশেষ আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের গ্রুপ অ্যাডভাইজার সুপ্রিয় চক্রবর্তী, যিনি বলেন,
“ধূমপান যে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তা আজ আর কারও অজানা নয়। তবুও অনেকে নেশার বশে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেন। অথচ, মনের জোর ও সচেতনতা থাকলে ধূমপান চিরতরে ত্যাগ করা সম্ভব।”
চিকিৎসা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে সি.ও.পি.ডি, ব্রঙ্কাইটিস, এমফাইসিমা, এমনকি লাংস ও গলা-মাথা অঞ্চলের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়। ধূমপান কেবল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নয়, পারিবারিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যবিধিকেও প্রভাবিত করে।
এই কারণেই তামাক বর্জন আজ সময়ের দাবি। বি.পি. পোদ্দার হসপিটালের পালমোনোলজি ক্লিনিক-এ রয়েছে আধুনিক চিকিৎসা ও স্ক্রিনিং সুবিধা, যা ধূমপানের ফলে সৃষ্ট রোগগুলো প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় তরুণ প্রজন্মকে। তাদের উদ্দেশে বার্তা ছিল—নিজেরা যেমন তামাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন, তেমনি আশেপাশের মানুষদেরও উৎসাহিত করুন এই ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে।
যাঁরা তামাক পুরোপুরি ছাড়তে পারছেন না, তাঁদের জন্য পরামর্শ—ধীরে ধীরে মাত্রা কমান, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, এবং অবশ্যই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
