কিডনী সমস্যায় ভয় নয়, ভরসায় ‘মিনু’

Inshot 20251017 214657164

তাপস রায়, কলকাতা: কলকাতায় যাত্রা শুরু করল মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজি (MINU)। মণিপাল হসপিটালসের এই বিশেষ শাখা কিডনি ও মূত্রনালীর সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য এক ছাদের নিচে সর্বাঙ্গীন চিকিৎসা পরিষেবা দেবে। বেঙ্গালুরু, গোয়া, মাঙ্গালোর, জয়পুর, দিল্লি, গুরগাঁওসহ দেশের দশটি শহরে সাফল্যের সঙ্গে চলার পর কলকাতায় MINU-র একাদশ কেন্দ্র চালু হলো। আধুনিক প্রযুক্তি, অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং রোগীকেন্দ্রিক পরিষেবার সমন্বয়ে MINU এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যখাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। উদ্বোধনের দিনে প্রবীণদের জন্য আয়োজিত হয় একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা সেশন, যেখানে কিডনি ও ইউরোলজি স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতনতা, জীবনযাপনের পরিবর্তন ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হেলথ এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ডাঃ এইচ. সুদর্শন বল্লাল, যিনি বলেন, “কলকাতায় MINU-র সূচনা আমাদের স্বপ্নযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আমাদের লক্ষ্য শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক—সকল রোগীর জন্য উন্নত ও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রদান।” অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নেফ্রোলজি ও ইউরোলজির একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসক। ডাঃ উপাল সেনগুপ্ত MINU-র MOST প্রোগ্রামের কথা উল্লেখ করে বলেন, “কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সংগঠিত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।”

ডাঃ অভয় কুমার রোবোটিক ইউরোলজিক্যাল সার্জারির সুবিধা ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন, “এই প্রযুক্তি অপারেশনের নির্ভুলতা বাড়িয়ে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক।” ড. দিলীপ কুমার পাহাড়ি অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হলেও মাত্র ৫-৭ হাজারই হয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।” চ্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD)-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. অর্ঘ্য মজুমদার বলেন, “ভারতে প্রায় ৭.৮ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত, যার অধিকাংশই দেরিতে তা বুঝতে পারেন। MINU-র লক্ষ্য রোগ নির্ণয় ও সময়মতো চিকিৎসায় সহায়তা করা।” কলকাতার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে MINU নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন, যা ভবিষ্যতে বহু রোগীর আস্থা অর্জন করবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *