তাপস রায়: ২১শে জুন ২০২৫, প্রয়াত হন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অপরাজিতা বর্মণ। অভিনেতা রাহুল বর্মণের সহধর্মিণী হিসেবে নয়, নিজের সংগীত প্রতিভা, মমতাময় ব্যক্তিত্ব এবং দৃপ্ত উপস্থিতি দিয়েই তিনি জয় করেছিলেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়। তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর ফেলে যাওয়া সৃষ্টিকে সম্মান জানিয়ে গত ২১শে সেপ্টেম্বর, মহালয়ার দিন, উত্তম মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো এক অনন্য স্মৃতিচারণ সন্ধ্যা — ‘অপরাজেয় অপরাজিতা’। সন্ধে সাড়ে ছটায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে কথায়, গানে, কবিতায় ও নৃত্যে অপরাজিতাকে ফিরে পাওয়ার এক আন্তরিক প্রয়াস দেখা গেল।

হৃদয়ভরা ভালোবাসায় ভেসে উঠেছিল সারা মঞ্চ, আর রাহুল-অপরাজিতার বহু পুরোনো স্মৃতি যেন আবার নতুন করে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল উপস্থিত সকলের মনে। এই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী দেবশ্রী রায় এবং মমতা শংকর, সঙ্গীতে অংশ নেন জোজো, মনোময় ভট্টাচার্য্য, সৈকত মিত্র, লাজবন্তী রায় ও অরুণাভ চট্টোপাধ্যায়। আবৃত্তিতে ছিলেন সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রায়া ভট্টাচার্য্য, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ এবং মুক্তোধারা বসু। নৃত্যে অনিন্দিতা ব্যানার্জি তুলে ধরেন অপরাজিতার প্রতি শ্রদ্ধার এক মর্মস্পর্শী অনুভব। অনুষ্ঠানে বিশেষ উপস্থিতিতে ছিলেন বিধায়ক শ্রী দেবাশীষ কুমার, যাঁর বক্তব্য অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। সঞ্চালনার ভারে ছিলেন দেবলীনা দত্ত, চৈতী ঘোষাল, দেবদূত ঘোষ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য্য। আর ঠিক যেমনভাবে প্রত্যাশা করা যায়, আবেগভরা কণ্ঠে রাহুল বর্মণের “আমি তোমায় ভালোবাসি” উচ্চারণটি হয়ে ওঠে সেদিনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। এই স্মৃতিমেদুর সন্ধ্যা শুধু একজন শিল্পীকে স্মরণ নয়, ছিল ভালোবাসার এক চিরন্তন প্রকাশ। সকলের হৃদয়ে অপরাজিতা আজ, আগামীকাল, অনন্তকাল “অপরাজেয়” হয়েই থেকে যাবেন।